রোজা আল্লাহ তাআ’লা একটি প্রিয় এবাদত । রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা এর বিনিয়ম আল্লাহ তাআ’লা হাতে দিবেন। রোজা এবাদত আল্লাহ তাআ’লা কাছে খুবই পছন্দের একটি আমল। এই রোজা রাখা অবস্থায় কোন ব্যক্তি আল্লাহ তাআ’লা কাছে কিছু ছায়লে আল্লাহ তাআ’লা দিয়ে তাকেন।
সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ফজিলত:
সাপ্তাহের ৭ দিন থেকে ২ দিনকে আল্লাহ তাআ’লা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে বিবেচনা করেছেন রোজা রাখার জন্য। রোজা সব সময় রাখা যায় এই ২ দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা খুবই খুশি ও রহমত বরকত দিয়ে তাকেন। এই সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজার অনেক ফজিলত পূর্ণ। এই দিন আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা রোজা রাখতেন।
সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: ও আমাদের বড় বড় আলেম গুন রোজা রেখেছেন। এই দিনে মনে করা হয় বন্ধার সকল আমল আল্লাহ তাআ’লা কাছে পেষ করা হয়। আমাদের সপ্তাহের এই দুই দিন রোজা রাখব। না রাখলেও কোন গুনা হবে না কারন এগুলো নফল এবাদত।
সপ্তাহে দুই দিন অর্থাৎ সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখলে মিলবে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। রোজায় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। হাদিসে এসেছে, এ দুই রোজায় আল্লাহ তায়ালা বান্দার থেকে জাহান্নামকে একশ বছরের দূরত্বে হটিয়ে রাখবেন (সিলসিলাতুস আহাদিসিস সহিহা : ৬/২৫৬৫)।
সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা হাদিসে এসেছে অনেক ফজিলত। আম্মাজান হজরত আয়শা (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। তিরমিজি,নাসায়ি
প্রিয়নবি (সা.) প্রতি সপ্তাহে ২দিন রোজা রাখতেন। আর তাহলো সোমবার ও বৃহস্পতিবারের দোয়া। এই দুই দিন রোজা রাখার ফজিলত : প্রথমত হলো, প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার দিন নফল রোযা রাখা সুন্নত ও মুস্তাহাব। কারণ, তা ছিল মহানবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আমল। আর এই দুই দিন আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের নিকট বান্দার আমল পেশ করা হয়। মা আয়ি’শাহ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবার দিন রোযা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (তিরমিযী : ১০২৭)।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ আলার নিকট বান্দার আমলসমূহ পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেনো রোজা পালনরত অবস্থায় উপস্থাপিত হয়_ এটাই আমার পছন্দনীয়। তিরমিজি-৭৪৭,নাসায়ি কুবরা-২৬৬৭
আল্লাহ তাআ’লা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন প্রত্যেক মুসলমানের গুনাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী সম্পর্কে (আল্লাহ বলেন), তাদেরকে ছেড়ে দাও, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন করে। (ইবনে মাজাহ : ১৭৪০)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) কে সোমবার দিন রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছিলো অথবা, এই দিনে আমার উপর (ক্বুরআন) নাযিল করা হয়েছে।’ (সহীহ মুসলিম : ১১৬২)।
আমরা জানতে পারলাম যে, সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা ফজিলত এবং গুরুত্ব। সাপ্তাহ এই দুই দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা ও আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: অনেক খুশি হন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই দিন গুলো মধ্যে রোজা রাখতে এবং বেশি করে এবাদত করতেন। আমাদের এই আমল করার তাওফিক দান করুক আমিন।