দোয়া মাসুরা হলো একটি সুন্নত আমল। এটি আমরা নামাজের শেষ বৈঠকে পড়ে থাকি।  কোরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো কল্যাণ প্রার্থনামূলক দোয়া পড়লেই হবে। এই দোয়া মাসুরা না পড়লেও নামাজ হবে। তবে এই দোয়ায়ে মাসুরাটি অধিক প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এটা পড়াও উত্তম।

দোয়া মাসুরার ফজিলত:

দোয়া মাসুরার ফজিলত অনেক। এটি একটি সুন্নত আমল। আমরা নিজের জীবনে বেশি বেশি করে সুন্নত আমল গুলো করলে অনেক গুনাহ ও নেকি লাভ করা যায়। এই দোয়া আমরা মোনাজাতেও পড়তে পারি। এটি গুনা মাফের এবং আল্লাহ তাআ’লা কাছে বন্ধার সকল ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই দোয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আল্লাহ তাআ’লা তার প্রিয় বন্ধাদের সকল সমস্যা ও নেকি দেওয়ার জন্য অনেক গুলো দোয়া পাঠিয়েছে। এর মধ্যে দোয়া মাসুরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআ’লা নিঃসন্দেহে আপনিই ক্ষমাকারী, করুণাময়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৩৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৭০৫)

হজরত আবু বকর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি রাসুল (সা.)-কে বললাম, আমাকে একটি দোয়া শিক্ষা দিন, যা আমি আমার নামাজের মধ্যে পড়বো। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তুমি বল,

 اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

(বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুল্মান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।

অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার উপর অনেক অত্যাচার করেছি, তুমিই একমাত্র গুনাহ মাফকারী; অতএব তুমি আপনা হইতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

(বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

এতএব, বলা যায় যে এই দোয়া পাঠ করা অনেক ফজিলত। এটি সমসময়ে পাঠ করতে পারি। সকালে বিকালে নামাজে দোয়ায় সব জায়গায় এই দোয়া পাঠ করা যায়। তাই আমরা বেশি বেশি করে সুন্নত আমল গুলো করব এবং দুনিয়ায় ও আমিরাতে জান্নাতবাসি হব আমিন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।