ইফতার’ আরবি শব্দ। এর অর্থ রোজা ভঙ্গ করা বা সমাপ্ত করা। সারাদিন রোজা রেখে সূর্য অস্ত্র যাওয়ার পড় ইফতারের মাধ্যমে আমরা রোজা শেষ করি। আর এই ইফতারে রয়েছে অনেক ফজিলত।

রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোর ফজিলত:

রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করালে আল্লাহ তাআ’লা বলছেন তার বিনিময় আমি নিজ হাতে দিবেন। অন্য একজন ব্যক্তিকে ইফতার করালে সারাদিন রোজা রেখে যে নেকি লাভ করা যায় টিক অন্য একজন লোককে ইফতার করালে তার সে পরিমান নেকি লাভ হবে।

অন্যকে ইফতার করালে রোজাদারের কোনো নেকি কমানো হবে না। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআ’লা ২ জনকে কোন নেকি কম দিয়ে বঞ্চিত করবেন না। আল্লাহ তাআ’লা সমান ভাবে নেকি দান করবেন। আল্লাহ তাআ’লা অন্য লোকদের গরিব, নিঃস্ব, অসহায়, দিনমজুর ও মেহনতি কিংবা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী রোজাদারদের মুখে ইফতার তুলে দেওয়া কথা বলছেন।

রমজান মাস মানেই হলো রহমত বরকত ও ফজিলত পূর্ণ মাস। এই মাসে যে যত আমল করবে সে তত বেশি আল্লাহ তাআ’লা নেকি লাভ করবে। একটি আমল করলে অন্য মাসে ১০ টি নেকি লাভ করা যায় কিন্তু এই রমজান মাসের কারনে ৭০ গুন বৃদ্ধি করে দিবেন।

অন্য মাসে এক জন ব্যক্তিকে রোজা রাখা অবস্থা ইফতার করালে যে নেকি লাভ করা যায় এই রমজান মাসের কারনে তার ছেয়ে ৭০ গুন বেশি সোয়াব পাওয়া যায়। এই মাসে বেশি বেশি করে নেক আমল গুলো পালন করা। ইফতার করাতে হবে যে সকল মানুষ ভালো খেতে পারে না।

হজরত যায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো, তারও রোজাদারের ন্যায় সওয়াব হবে; তবে রোজাদারের সওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’

(তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, ‘রোজাদারকে ইফতার করানো দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- তাকে পেট ভরে তৃপ্ত করানো।’ (আল ইখতিয়ারাত, পৃষ্ঠা : ১৯)

যায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদার ইফতার করাবে সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।’

(সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৪৬; ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৮/২১৬; সহিহ আল-জামে, হাদিস: ৬৪১৫)

পরিশেষে আমরা বুঝতে পারলাম যে,  আমাদের সমত্ত অনুযায়ী চেষ্টা করা যে লোক গুলো ভালো ভাবে ইফতার করা যায় না বা করতে পারে না সে সকল গরিব, নিঃস্ব, অসহায়, দিনমজুর ও মেহনতি কিংবা আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী রোজাদারদের মুখে ইফতার তুলে দেওয়া ।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।