আশুরার রোজা ১ টি এবং হাদিসে এসেছে ২ টি রোজা পালন করা। ১০ তারিখে তু আশ্তরার দিন এর আগের দিন অথাবা পরেন দিন, ৯ বা ১১ তারিখ রোজা পালন করা। অন্যান ধমের সাথে যাতে না মিলে সে জন্য ২ টি রোজা ফালন করা। আর এই আশুরার রোজা পালন করলে আল্লাহ তাআ’লা অতিথের এক বছরের সগিরা গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই আশুরার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। রমজান মাসের রোজার পরেই যার অবস্থান।
আশুরাকে কেন্দ্র করে আমাদের মুসল্লিগণ রোজা রাখে এবং নফল ইবাদত করে। মাসটি হচ্ছে আরবি মাসের প্রথম মাস মহররম। এ মাসে রয়েছে পবিত্র আশুরা। মুসলমান নর-নারীর কর্তব্য হলো মুহররম মাসে আশুরার দুটি রোজা পালন করা। আর এই দুইটি রোজা ফালন করলে আল্লাহ তাআ’লা তাকে অতিথের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। ইসলামের দৃষ্টিতে মহররম একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ মাস। অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত আছে এ মাস ঘিরে। এ মাসের ১০ তারিখ মুসলিম বিশ্বের তাৎপর্যপূর্ণ সেই আশুরার দিন।
রাসুল (সা.) বলেছেন-
তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা করো। আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোযা রাখ। (সহিহ ইবনে খুযাইমা, হাদিস নং ২০৯৫)।
এজন্য ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মুহররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার কারণে মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।
অন্য হাদিসে নবী (স.) বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১/৩৬৭; জামে তিরমিজি: ১/১৫৮)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (স.) হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, এটা সেই দিন—যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে মুক্তি দিয়েছেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে ডুবিয়ে মেরেছেন। তাঁর সম্মানার্থে আমরা রোজা রাখি। তখন রাসুল (স.) বললেন, ‘আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী।’ এরপর তিনি এ দিনে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোজা রাখব।’ (সহিহ মুসলিম: ১/৩৫৯)
আশুরার রোজা মূলত ১০ মুহররমের রোজা। তবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আশুরার রোজার সঙ্গে একটি রোজা বাড়িয়ে রাখার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন। হাদিসের বর্ণনায় বিষয়টিও সুস্পষ্ট হয়ে যায়-صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًاরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,ম ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখ। আর তাতে ইয়াহুদিদের বিরোধিতা কর। আশুরার একদিন আগে কিংবা পরে একদিন রোজা রাখ।’ (ইবনে খুজায়মা)
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আশুরার ২টি রোজা। এই রোজা গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই রোজা গুলো গুরুত্ব সহকারে পালন করব। এই রোজা গুলো ফালন করলে অতিথের ১ বছরের সকল সগিরা গুনাহ মাপ করে দিবেন আমিন।