নামাযে ১৩ টি ফরয (যা বাদ পড়লে নামায বাদ হয়ে যায় ) এবং ১৪ টি ওয়াজিব আছে । এককথায় ওয়াজিব হলো যা অব্শ্যই করণীয় যা বাদ
দিলে সিজদাসাহু(ওয়াজিব ছুটলে ভুল সুধরানোর পদ্ধতি) দিতে হয়, না দিলে গুনগার হতে হবে।
ওয়াজিব সমুহ হলো:
১) সুরা ফাতিহা পুরা পড়া(আলহামদুশরীফ)
২) ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলানো
৩) রুকু সেজদায় দেরী করা।*
৪)রুকু হইতে সোজা হইয়া খাড়া হইয় দেরী করা*
৫)দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হইয়া বসিয়া দেরী করা*
৬) দর্মিয়ানী বৈঠক( ২রাকাত নামায হলে এক বৈঠক, ৩ রাকাত নামায হলে ২ বার বৈধক এবং ৪ রাকাত নামায হলে ২ বার বৈধক করা)
৭)দোনে বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়া।
৮) ইমামের জন্য ক্বিরাত আস্তে পড়া( যহুর ও আছর নামায) এবং জোড়ে পড়া(ফজর, মাগরিব, ইশা)
৯) বিতরের নামাযে দোয়া কুনুত পড়া।
১০) দুই ঈদের নামাযে ৬ তাকবির বলা।
১১)প্রত্যেক ফরয নামাজের প্রথম ২ রাকাতকে ক্বিরাতের জন্য ঠিক করা।
১২)প্রত্যেক রাকাতের ফরজগুলির তারতীব ঠিক রাখা।
১৩ )প্রত্যেক রাকাতের ওয়জিবগুলির তারতীব ঠিক রাখা।
১৪)আছছলামু আলাইকুম বলিয়া নামায শেষ করা ।
প্রত্যেক নামাজি উপরের বেশীভাগ ওয়াজিব সমুহ মেনে নামায আদায় কিন্তু বোল্ড ***করা ওয়াজিব সমুহ অনেকে ঠিক মতে পালন করে না বা জানে না। অনেক নামাজির দেখা যায় রুকু করে ঠিক মতে সোজা না হয়েই সিজদায় চলে যায় এই ক্ষেত্রে তার ওয়াজিব বাদ হয়ে যায় কিন্তু সে সিজদাসাহু দেয়া না। এছাড়াও সিজদার সময়ও অনেক নামাজি প্রথম সেজদা দিয়ে ঠিক মতে না বসে আবার সিজদায় চলে যায় এতেও তার ওয়াজিব বাদ হয়ে যায় কিন্তু সে সিজদাসাহু দেয়া না । আমাদের উচিত প্রত্যেক রাকুর পর তিন তাসবিহ পরিমান দাড়িয়ে থাকা এবং প্রথম সেজদার পর তিন তাসবিহ পরিমান বসে থাকা অথবা উভয় ক্ষেত্রের জন্য দোয়া আছে তা শিখে লওয়া।
ভাই বোন আমি কোন মাওলানা না আমি সাধারণ জেনারেল লাইনের পড়াশুনা করা মুসলমান । আমার লেখায় যদি ভুল থাকে তবে ক্ষমা করবেন । আর কারো এর থেকে ভাল কিছু জানা থাকলে মন্ত্যব্য করবেন আশা করি।