হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, প্রতিটি আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। রোজা রাখা সাবালক হওয়ার পড় থেকে সবারই উপর ফরজ করেছেন আল্লাহ তাআ’লা। রোজা রাখা যেমন জরুরি তেমনি নিয়ত করাও জরুরি।
নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়
সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই সেটা আদায় হয়ে যাবে। নফল রোজার নিয়ত ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয় করলেই হবে। এই নফল রোজা আমরা বছরের যে কোন সময় পালন করতে পারি।
বাংলাতে রোজার নিয়ত :
আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেনো তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)
রমজান মাসে রোজাকে আল্লাহ তাআ’লা ফরজ করেছেন। রোজার নিয়ত মানে হলো কাজের প্রতি ইচ্ছে পোষন করা। সেটা মনে মনে হতে পারে আবার নিদিষ্ট দোয়া পড়ে । যাই পড়ন না কেন রোজা হয়ে যাবে। সূর্য উঠার আগে হুক আর পড়ে হুক। সূর্য ডোবার আগে করলেই রোজা হয়ে যাবে। রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ কাজ যারা সাবালক হয়েছেন তাদের সকলের উপর ফরজ।
রোজার আরবি নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার আরবি নিয়ত অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি pআমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
নিয়ত মানে হলো ইচ্ছে পোষন করা । কোন কাজে ইচ্ছে পোষন করার নামই হলো নিয়ত, সেটা কোন দোয়া হতে পারে আবার সে কাজ করার ইচ্ছে পোষন করা হলেও হয়ে যাবে। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরজ রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যাবতীয় আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তির তা-ই প্রাপ্য হয়, যার সে নিয়ত করে থাকে।
মা আয়েশার হাদীস; তিনি বলেন, একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমাদের কাছে (খাবার) কিছু আছে কি?’’ বললেন, ‘জী না।’ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তখন বললেন, ‘‘তাহলে আজকে আমি রোযা থাকলাম।
– حامداومصلياومسلما، بسم الله الرحمن الرحيم –
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হল রোযা রাখার সময়সীমা। ফরজ রোযার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
রোজার নিয়ত মূলত ইচ্ছে পোষন করা। আমি রোজা রাখব এমন মনোভাব পোষণ করা। রোজা রাখা মুসলিম নরনারী উপর সাবালক হওয়ার পড়ে সকলের উপর ফরজ। তাই রোজা রাখব এবং রোজার যত আমল আছে সব গুলো পালন করতে চেষ্টা করব আমিন