আল্লাহ তাআ’লা রোজাকে ফরজ করেছেন। রোজা রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এর নিয়ত করাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে আল্লহপাক শুধুমাত্র একটি আয়াতে রোজার কথা বলেছেন। দ্বিতীয়বার এর পুনরাবৃত্তি করেননি। সূরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন।

ইফতার,  সারাদিন রোজা রাখার পড় আমরা সূর্য অস্ত্র গেলে মাগরিবের আজান দিলে আমরা ইফতার করি।এই সময় আল্লাহ তাআ’লা কাছে দোয়া কবুল হয়। ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া কড়লে আল্লাহ তাআ’লা অনেক খুশি হয়। সারাদিন রোজা রাখার পড় সবাই মিলে ইফতার করার মজায় আলাদা এবং আল্লাহ তাআ’লা সবাই মিলে ইফতার করার কথায় বলেছেন।

নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না,  মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে।  রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)

তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রোজার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :

 নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :

 হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া আরবি:

بسم الله اَللَّهُمَّ

 لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ:

 আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

 ইফতারের দোয়া বাংলায় অর্থ:

 হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।

আল্লাহ তাআ’লা রোজা কে ফরজ করেছেন। রোজা রাখা সাবালক হলে সকলের উপর ফরজ করেছেন। রোজা রাখার পড় ইফতার করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঐ সময় আল্লাহ তাআ’লা অনেক রহমত দিয়ে তাকেন এবং দোয়া কবুল হয়।  রমজান মাসে এক মাস আল্লাহ তাআ’লা রোজা রাখতে বলেছেন। আমরা রোজা রাখব এবং রোজার নিয়ত করব। সকলে রোজা রাখার তৌফিক দান করুক আমিন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।