শবে বরাত শব্দটি ফারসি শব্দ। শবে মানে হচ্ছে রাত আর বরাত মানে হচ্ছে মুক্তি। অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত।এই রাতে বেশি বেশি এবাদত করলে আল্লাহ তাআ’লা সকল গুনাহ থেকে মুক্তি দান করে। আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের উপর শান্তি দান করেন। ভালোর দিকে চলে আসতে বলে।

শবে বরাতের রোজা কয়টি:

শবে বরাতের রোজার কোন নিদিষ্ট নেই যে কয়টা রাখতে হবে। হাদিসে ও কোরআনে এর কোন প্রমান নেই যে কয়টি রোজা রাখতে হবে। এমনিতেই রোজা রাখা অনেক ফজিলত পূর্ণ  অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

শবে বরাতের রোজা রাখলে ১ টি রাখতে পারেন। আর মাসের মধ্যে ৩টি রোজা তু রাখায় ভালো। ৩টি রোজার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শবে বরাতের মধ্যে আল্লাহ তাআ’লা অনেক মানুকে মুক্তি দিবেন সেই আশায় রোজা রাখতে পারেন। না রাখলেও কোন সমস্যা নেই।

 শবে বরাতের রোজা একটিও রাখা যায়। তবে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন। এই হিসেবে শবে বরাতে তিনটি রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।

শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখা উত্তম :

শবে বরাতের রোজা ১ টি রাখতে পারেন তবে সবচেয়ে উত্তম হলো ৩ টি রাখা। নিদিষ্ট কোন হাদিসে শবে বরাতের রোজার সম্পর্কে এই নিয়ে কোন কথা নেই যে কয়টি রোজা রাখতে হবে। ১ টি রাখতে পারেন আবার ৩টি রাখতে পারেন।

আল্লাহ তাআ’লা এই শবে বরাত সম্পর্কে বলেছেন যে এটি হলো মুক্তির রাত। আল্লাহ তাআ’লা প্রিয় বন্ধাদেরকে মুক্তি দান করে দিবেন। সকল গুনাহ থেকে মুক্তি দিবেন। আল্লাহ তাআ’লা পাপ কাজ থেকে ভালো কাজের দিকে আসতে বলেন।

হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা (র) বলেন, রাসূল (সঃ) তাকে বলেছেন, এই রাতে আল্লাহ ভেড়া বকরীর পশমের সংখ্যার পরিমানের চেয়েও বেশি সংখ্যা পরিমাণ গুনাহ্গারকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি – ৭৩৯)

শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। (ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪)

তাই আমরা বুঝতে পারলাম যে, শবে বরাতের রোজার সম্পর্কে কোন হাদিস নেই যে কয়টা রোজা রাখতে হবে। আপনার ইচ্ছে মত রাখতে পারেন। সবাই এই শবে বরাত সম্পর্কে সঠিক হাদিস জেনে আলম করতে পারে সেই তাওফিক দান করুক আমিন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।