সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ার ফজিলত

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: আমাদের জন্য কত আলম রেখে গেছেন। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তাঁর ওপর শান্তি ও রহমত বর্ষণ করুক।এক বার দরুদপাঠ করলে ১০ বার রহমত দিতে তাকেন আল্লাহ তাআ’লা। দরুদ পাঠ করা হলো আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: কে সালাম পেস করা।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ার ফজিলত:

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ার ফজিলত অনেক। যদি কোন ব্যক্তি এই দুরুদ শরীফ বা দরুদ পাঠ করে তার উপর শান্তি দান করে ও ১০ বার রহমত দিতে তাকেন আল্লাহ তাআ’লা।

আল্লাহ্ তা‘আলা স্বয়ং তাঁর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। এজন্য দুরূদ শরীফ পাঠ করা একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দুরূদ পাঠের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় ফযিলত হল দুরূদ পাঠকারীর উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।

আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহজাব: ৫৬)

আপনার উম্মতের কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে আমি তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবো। কেউ একবার সালাম পেশ করলে তার প্রতি সালাম পেশ করবো ১০ বার। আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি দরুদ পড়ার তওফিক দিন।’ (নাসাঈ)

নবী কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ পড়ার অর্থ হলো- আল্লাহর আদেশের বাস্তবায়ন ও হুকুম পালন করা। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ -সুরা আল আহজাব : ৫৬

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন সেই ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে কাছাকাছি হবে যে আমার জন্য বেশি বেশি দরুদ পড়ে। (তিরমিজি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।’ -সহিহ মুসলিম : ৩৮৪

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার নাম উচ্চারিত হবে, কিন্তু আমার প্রতি দরুদ পড়বে না, সে বড় কৃপণ। (তিরমিজি)

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আমার কবরকে উৎসব কেন্দ্রে পরিণত করো না। তোমরা আমার প্রতি দরুদ পেশ করো। কারণ, তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের পেশকৃত দরুদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২০৪২

আমরা জানতে পারলাম যে, সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়ার ফজিলত। এটি পড়া অনেক ফজিলত পূর্ণ আমল।আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: উপর দরুদ পাঠ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি পাঠ করলে কঠিন হাসরের ময়দানে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: আমাদেরকে ঐ জায়গা থেকে আল্লাহ কাছে দোয়া করবেন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।