রোজার নিয়ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়ত হলো কোন কাছে ইচ্ছে পোষন করা। আর সকল কাজের নিয়ত হলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতিটি আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।

রোজার নিয়ত না করলে কি রোজা হবে?

রোজার নিয়ত না করলে ও রোজা হয়ে যাবে । তবে এটা সমসময় করা যাবে না। ভুলে গেলে সে হিসাবে আল্লাহ তাআ’লা সব নেকি দিয়ে দিবে। নিয়ত বাংলা আরবি যেটা আপনি পারেন সেটায় করতে পারেন কোন সমস্যা নেই।

 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, প্রতিটি আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। রোজা রাখা সাবালক হওয়ার পড় থেকে সবারই উপর ফরজ করেছেন আল্লাহ তাআ’লা। রোজা রাখা যেমন জরুরি তেমনি নিয়ত করাও জরুরি।

যদি কোন ব্যাক্তি নিয়ত না করে তাহলেও তার রোজা হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন নিয়ত গুনে বরকত। তাই মনে মনে হলেও আমরা নিয়ত করব। আরবিতে পড়লে ভালো না পাড়লে বাংলায় আছে সে ভাবে করলেও কোন সমস্যা নেই।

সুবহে সাদিক (পূর্ব আকাশে শুভ্র আভা প্রকাশ) হওয়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব প্রকার পানাহার এবং স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৪; রদ্দুল মুহতার-৩/৩৩০)

আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখছি। মুখে বলা জরুরি নয়। (সহিহ বোখারি : ১/২, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২২৬)।

ফরজ রোজার নিয়ত রাতেই করা উত্তম। (সুনানে আবি দাউদ : ১/৩৩৩, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২২৯)।

বিভিন্ন হাদিস গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে নিয়ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়ত করতে হয়। মনে মনে পড়লেও কোন সমস্যা নেই,  কথা হচ্ছে পড়তে হবে। নিয়ত ঠিক তাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়।  তাই রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আমল।  সে আমলটিকে কোন কমতি দেওয়া যাবে না।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।