সর্বোত্তম দোয়া হচ্ছে- আরাফার দিনের দোয়া”। অর্থাৎ সবচেয়ে বরকতময়, অধিক সওয়াব ও কবুল হওয়ার অধিক উপযুক্ত যিকির। এই আরাফার দোয়া ও রোজা আল্লাহ তাআ’লা কাছে অনেক সম্মানিত ও ফজিলত পূর্ণ।

আরাফার দিনের দোয়া আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের পড়তে বলেছেন। যারা হজ্জ করবে তারা তু পড়বেই, আর যারা হজ্জ না করবে তারাও পড়বে। এতে অনেক ফজিলত পূর্ণ। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এই দোয়াটি আরাফার সময় বেশি বেশি পাঠ করতেন।

আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এই আরাফার সময় দিনে ও রাতে এবাদত করতেন। আল্লাহ তাআ’লা এর অছিলা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।  রাসুল (সা.) বলেছেন:আরাফার রাতে সকল ভাল দোয়াকে কবুল করা হয়। কেউ যদি সারা রাত ইবাদত করে তাহলে তাকে ১৭০ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। কেউ তওবা করলে তা কবুল করা হয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাহ্‌ দিনের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:

আরাফার দিনের দোয়া আরবি উচ্চারণঃ

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

আরাফার দিনের দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর

আরাফার দিনের দোয়া বাংলা অর্থ:

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

তিরমিযী নং ৩৫৮৫; আর শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪; অনুরূপভাবে সিলসিলা সহীহায় ৪/৬।

আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আরাফার দিনে ছওম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বললেন, তা পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গোনাহ মোচন করে দেয়। ( মুসলিম ২৮০৪, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ )

হাসান, বকর, সাবেত ও মুহাম্মদ বিন ওয়াসে’ তাঁরা আরাফার দিন মসজিদে হাজির হতেন। ইমাম আহমাদ বলেন: এতে কোন অসুবিধা নেই। এটা তো দোয়া ও যিকির ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁকে বলা হল: আপনি কি এটা করেন? তিনি বলেন: না; আমি করি না। ইয়াইয়া বিন মায়ী’ন থেকে বর্ণিত আছে যে, আরাফার দিন সন্ধ্যায় সবার সাথে তিনিও হাজির থাকতেন।[সমাপ্ত]

[আল-মুগনী (২১২৯)]

আমরা জানতে পারলাম যে আরাফার দিনের দোয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই আরাফার দিনের আমলের জন্য আল্লাহ তাআ’লা সামনের এবং পেছনের ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। তাই এই আরাফার রোজা ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।