সেহরি না খেলে রোজা হবে

সেহরি না খেলে রোজা হবে রোজা হয়ে যাবে কিন্ত সেহরির যে ফজিলত ও নেকি সেটা পাওয়া যাবে না।

সেহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরি না খেয়ে রোজা রাখা জায়েজ হবে, এতে কোনো আপত্তি নেই।নবী করীম (সা.) সব সময় রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি করতেন। সেইসাথে তিনি তাঁর প্রিয় উম্মতকেও সেহরি করতে উৎসাহিত করেছেন। বুখারী শরীফের ১৭৮৯ নং হাদীসে আছে, নবী করীম (সা.) বলেন, তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত রয়েছে।

আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও! কেননা সেহরিতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩; মুসলিম, হাদিস : ১০৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩)

কেউ যদি সাহরিতে উঠতে না পারে, তাহলে তাকেও রোজা রাখতে হবে। সাহরি খাওয়া মুস্তাহাব ও বরকত। (বিনায়া শরহে হেদায়া : ৪/১০৩) সেহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।  

হযরত মোহাম্মদ সা: সকল উম্মতকে বলেছেন তোমরা বেশি বেশি করে রোজা রাখ। সেহেরি খাও ফজরের আগে। এই সেহেরি অনেক বরকত রয়েছে। আল্লাহ তাআ’লা অনেক নেকি ও বরকত দিবেন।

হাদিসে এসেছে, বিলম্বে সাহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে— শেষ সময়ে কিছু চা, পানি, পান ইত্যাদি খেলেও সাহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ১৮৬)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সাহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সেহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই। ’ (মুসলিম, হাদিস: ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস: ৬৪২)

হজরত আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমাদের এবং আহলে কিতাব (ইহুদি ও নাসারা) এর রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া। (আমরা সেহরি খাই আর তারা সেহরি খায় না।) সহিহ মুসলিম হাদিস নং-১০৯৬

তাই আমরা বলতে পারি যে সেহেরি ছাড়াও রোজা হয়ে যাবে। সেহেরি খাওয়াও অনেক বরকত ও ফজিলত। সেহেরি না খেলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।