রোজার নিয়ত কি মুখে বলতে হবে

হাদিসে আছে, প্রতিটি আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ নিয়তবিহীন কোনো আমল আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। আর নিয়ত মানেই হলো ইচ্ছে পোষন করা।

যে ব্যাক্তি রোজা রাখে, রোজার নিয়তে ফজর আযানের আগে সেহেরি খায় এবং রোজা রাখে সে ব্যাক্তির এটাই রোজার নিয়ত। নিয়ত মানে হলো ইচ্ছে পোষন করা। মুখে না পড়লেও রোজা হয়ে যাবে। মুখে পড়তে হবে এমন কোন কথা নয়, মনে হচ্ছে পোষন করা এটাই হবে।

তবে যদি আরবি নিয়ত জানে সেটা পড়া উত্তম হয়। আর যদি আরবি না জানে বাংলায় পড়তে পাড়ে আজ আমি রমজানের / নফল / শাবান,,,, ইত্যাদি রোজা রাখার নিয়ত করিলাম। এটি পড়লেও হয়ে যাবে রোজা।

মনকে স্থির সংকল্পের নামিই হলো নিয়ত। নিয়ত করতে হয় মনে মনে। রোজার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে/ মনে রোজার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি রোজার উদ্দেশ্যে সাহরি খেলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক কাজের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। নিশ্চয় মানুষের জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়ত করে (সহিহ বুখারি : ১)

একদা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলাম গোত্রের এক লোককে বললেন, মানুষের মধ্যে ঘোষণা করে দাও, যে খাবার খেয়েছে সে যেন বাকি দিন না খেয়ে থাকে। আর এখনও যে কিছুই খায়নি, সে যেন রোজা রাখে। কেননা, আজ আশুরা দিবস। -সহিহ বোখারি: ২০০৭

তাই আমরা বুঝতে পারলাম যে, নিয়ত হলো একটা কাজের প্রতি ইচ্ছে পোষন করা। মনে মনে ইচ্ছে পোষন করলেই রোজা হয়ে যাবে। আরবি বাংলায় মুখে বললে ভালো মুখে বা বললে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের আমল করার  তাওফিক দান করুক আমিন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।