শাওয়ালের রোজা/ শাওয়াল মাসের রোজার নিয়ত  ঠিক রমজানের রোজার নিয়ত মতোই। নিয়ত মানেই হলো ইচ্ছে পোষন করা,, আমি এই ভালো কাজটা করব এমনটায় মনে মনে পড়লেই হবে। রমজানের রোজা রাখার পড় শাওয়ালের রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা সে ব্যাক্তিকে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব দিবে।

শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত :

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, আল্লাহ তাআলা শাওয়াল মাসের ছয় দিনে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা তাকে সকল গুনাহ মাপ করবে এবং জান্নাত বাসি করবে।

শাওয়াল মাসের রোজার হাদিস আরবি উচ্চারণ:

হাদিস বর্ণিত হয়েছে,” عَن أَبي أَيُّوبَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتّاً مِنْ شَوَّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ». رواه مسلم “

হাদিসের বাংলা অর্থ:

আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন

যে ব্যক্তি রমযানের রোজা পালনের পর শওয়াল মাসের ছয়দিন রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।”

সহীহ দলিল সমূহ: [মুসলিম শরীফ হাদিস নং ১১৬৪, তিরমিযি শরীফ হাদিস নং ৭৫৯, আবু দাউদ শরীফ হাদিস নং ২৪৩৩, ইবন মাজাহ হাদিস নং ১৭১৬, আহমদ হাদিস নং ২৩০২২, ২৩০৪৪, দারেমি হাদিস নং ১৭৫৪]

শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার সুন্নত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখবে; তারা যেন সারা বছর রোজা পালন করল।” (মুসলিম: ১১৬৪; আবুদাউদ: ২৪৩৩; তিরমিজি, নাসায়ি, ইবনে মাজাহ, সহিহ্-আলবানি)।

আল্লাহ তাআ’লা রোজাকে ফরজ করেছেন। রোজা রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এর নিয়ত করাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কুরআনে আল্লহপাক শুধুমাত্র একটি আয়াতে রোজার কথা বলেছেন। দ্বিতীয়বার এর পুনরাবৃত্তি করেননি। সূরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সঃ)  বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর জাকাত আছে, শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)।

রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) রোজার ফজিলত সম্পর্কে আরও বলেছেন, ‘রোজা হচ্ছে ঢালস্বরূপ এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার সুদৃঢ় দূর্গ।’ (নাসায়ি)

শাওয়াল মাসের রোজারনিয়ত সম্পর্কে আলোচনা :-

সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই সেটা আদায় হয়ে যাবে। শাওয়ালের মাসের রোজার নিয়ত  ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয়ত করলেই হবে। শাওয়ালের রোজার নিয়ত অনেক ফজিলত তু আছে। এই রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের সকল গুনাহ থেকে মাফ করে দেয়।

শাওয়াল মাসের  রোজার নিয়ত বাংলা:

আমি আজ  শাওয়াল মাসের রোজার রাখার নিয়ত করলাম। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।

নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না,  মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে।  রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা সহ সকল রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)

তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

শাওয়াল মাসের রোজার নিয়ত ঠিক ফরজ রোজার মতইএটা পড়লেই হয়ে যাবেনিচে দেওয়া হলো :-

রোজার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :

 নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :

 হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

শাওয়াল মাসের রোজার নিয়ত টিক ফরজ রমজানের রোজার মতই। এই শাওয়াল মাসের রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা বলেন সারাবছর রোজা রাখার নেকি লাভ করা যায়। তাই আমরা রমজানের রোজার পরেই এই শাওয়াল মাসের রোজা রাখব,,,আমিন।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।