সাক্ষী রোজা বলতে কোন রোজা নাই। এটি শাওয়াল মাসের ৬ রোজা নামেই পরিচিত। গ্রামের মানুষ ও কিছু মানুষের ধারণা যে শাওয়ালের ৬ রোজা মানে সাক্ষী রোজা। এই নিয়ে কোন হাদিস নেই।
সাক্ষী রোজা নিয়ে আলোচনা:
অনেকেই বলে বাৎসরিক ফরজ রোজার পর নাকি সাক্ষী হিসেবে ছয়টা রোজা রাখতে হয়। এটি কোন হাদিস নেই। রমজানের রোজার পড় আমরা এই ৬ টি রোজা রাখি এটি শাওয়াল মাসের রোজা সাক্ষী রোজা না।
এই ৬ রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন যে ব্যাক্তি ৬ রোজা রাখল সে যেন সারাবছর রোজা রাখল। আল্লাহ তাআ’লা কাছে রোজা পছন্দ আমল।এটি কোন বান্ধা রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা তার সকল গুনাহ মাপ করে এবং তার সকল আপদ বিপদ থেকে রক্ষা করে। জান্নাতে যাওয়ার জন্য পথ সহজ করে দেয়।
নফল রোজাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা। সাধারণ মুসলমান এই ছয় রোজাকে সাক্ষী রোজা হিসেবে জানলেও পবিত্র কোরআন, হাদীস বা ধর্মীয় গ্রন্থাদিতে এই নামটি খুঁজে পাওয়া যায় না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবু আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।”[সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ]
আল্লাহ এক নেকিকে দশগুণ করেন। সুতরাং এক মাসের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। বাকী ছয়দিন রোজা রাখলে এক বছর হয়ে গেল।”[সুনানে নাসায়ী, সুনানে ইবনে মাজাহ]হাদিসটি সহিহ আত-তারগীব ও তারহীব (১/৪২১) গ্রন্থেও রয়েছে।
তাই আমরা সঠিক হাদিস জেনে আলম করব, সাক্ষী রোজা নামে কোন রোজা নেই, এটি মূলত শাওয়ালের রোজা নামেই হাদিসে আছে। ৬ রোজার অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে। আমাদের সঠিক হাদিস জেনে আলম কারার তাওফিক দান করুক আমিন।