শবে মেরাজের এর অর্থ যার দ্বারা আরোহণ করা হয়। এটা উরজুন শব্দ হতে এসেছে। অভিধানে যার অর্থ হল, সিঁড়ি, সোপান, ধাপ, উর্ধ্বগমন ইত্যাদি। শবে মেরাজ অনেক ফজিলত পূর্ণ

শবে মেরাজের এর ফজিলত :

 শবে মেরাজের এর অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে । আল্লাহ তাআ’লা বন্ধা যতই গুনাহ করুক না কেন সে গুনাহ মাফ করানোর জন্য অনেক অনেক সুযোগ দিয়েছে।  এর মধ্যে শবে মেরাজের রাতেও সকল গুনাহ মাফ করে দেয়।

বিশেষ করে শবে মেরাজ বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত পরিচিত একটি বিষয়ে। আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের তাদের যত ধরনের সমস্যা ও তাদের কি লাগবে আল্লাহ তাআ’লা কাছে ছাওয়া। আল্লাহ তাআ’লা সকল কিছু বন্ধার ছাওয়া পাওয়া কবুল করে তাকেন।

শবে মেরাজ কথা বললেই তু আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এর কথা চলে আসে। একদা এক রাতে মুহাম্মদ (সাঃ) এত লম্বা সময় ধরে সিজদারত অবস্থায় ছিলেন যে হজরত আয়েশা মনে করেছেন নবীজি মনে হয় সিজদারত অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

অনেক হাদিসে এসেছে যে শবে মেরাজ সময় পৃথিবীর সকল মানুষের ভাগ নিধারন করা হয়। আবার কোন কোন হাদিসে এসেছে বিশ্বের সকল মুসলিমদের কাছে শবে বরাত বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত পরিচিত একটি বিষয়ে। শবে বরাত মুসলমানদের জন্য একটি অন্যতম দিবস বা দিন। 

শবে মেরাজ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায় করেন এবং বিভিন্ন ধরনের দোয়া পাঠ করেন। কিন্তু কিভাবে শবে মেরাজের নামাজ পড়তে হয় 

প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১০০ বার আয়াতুল কুরসী এবং ২য় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১০০ বার সূরা ইখলাস পড়তে হবে। যে ব্যক্তি ঐভাবে ২ রাকাত নামায আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে নির্ধারিত স্থানটি না দেখা পর্যন্ত তার মৃত্যু হবে না।

শবে মেরাজ সম্পর্কে নিছে কিছু হাদিস দেওয়া হলো:

আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বলেন : রজব মাসের বিশেষ কোন নামাজ সহিহ ভাবে প্রমাণিত নয় (লাতায়িফুল মায়ারিফ , পৃষ্ঠা ১৬৪)

বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি  এ সম্পর্কে বলেন রজব মাসের মর্যাদা এবং এই মাসে রোজা রাখা এবং এই মাসের বিশেষ কোন রাত্রে নামাজের ফজিলত সম্পর্কে দলিল যোগ্য হাদিস নেই। এমনটা দৃঢ়তার সাথে আমার পূর্বে বলেছেন  ইমাম আবু ইসমাইল আল হারাওয়ী। আমরা তার থেকে সহীহ সনদে এমনটা বর্ণনা করেছি। (তাবয়িনুল আদাব বীমা ওয়ারাদা ফি শরহী রজব।পৃষ্ঠা: ২)

হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী এখানে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন : যে রজব মাসের বিশেষ কোন রাতের ফজিলত সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। সুতরাং আমাদের দেশে যেহুত ২৭ তারিখে শবে মেরাজ  হিসেবে  মনে করা হয়  করা হয় ।  তাই এই রাতের বিশেষ করে  কোন নামাজ প্রমাণিত নয় সহিহ হাদিস দ্বারা  ।

শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে যে  কথা বারো চান্দের ফজিলত নামক কিতাবে উল্লেখ আছে : এ সম্পর্কে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাহি বলেন  এই সবকিছু জাল ।

শবে মেরাজ রোজার নিয়ত টিক রমজানের রোজার নিয়ত মতইএর জন্য আলাদা কোন নিয়ম নেই

শবে মেরাজ রোজার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা :-

সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই সেটা আদায় হয়ে যাবে। শবে মেরাজের রোজার নিয়ত  ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয়ত করলেই হবে। শবে মেরাজ রোজার অনেক ফজিলত তু আছে। এই রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের সকল গুনাহ থেকে মাফ করে দেয়।

শবে মেরাজ রোজার নিয়ত বাংলা:

আমি আজ শবে মেরাজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।

নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না,  মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে।  রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা  রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)

তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রোজার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :

 নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :

 হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

শবে মেরাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন যা আমরা নিয়মিত পায় না বছরের কোন এক বিশেষ সময় আসে। সেটি আমরা নিয়মিত পালন করব। আমরা নফল নামাজ পড়ব এবং রোজা রাখব। যাতে করে আমাদের সকল এবাদত আমরা পালন করতে পারি এবং সকল গুনাহ মাপ করতে পারি।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।