ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কিন্তু যদি তার সামর্থ্য তাকে তাহলে একাই কোরবানি দেওয়া উত্তম। তবে সাত ভাগেও কুরবানী দিতে পারবেন।
ভাগে কোরবানী দিতে পারবে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সবার টাকা পয়সা হালাল হতে হবে। যদি কারু টাকা পয়সা টিক না তাকে তাহলে সবার কোরবানীর সমস্যা হবে এদিকে খুব খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকবে আল্লাহকে খুশি করার জন্য।
যদি ভাগে কোরবানী দিতে ছান তাহলে উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ি: ৪/২০৭)
শরিকে কোরবানি করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নেই। (আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭,কাযিখান ৩/৩৫১)
ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেছেন, “শরীকরা যদি সাতজন অপেক্ষা কম হয়, তাহলেও তা যথেষ্ট। অতিরিক্ত ভাগ দিয়ে তারা নফল করে। যেমন যাকে ছাগল দিতে হবে, সে যদি উট দেয়, তাহলে তাও যথেষ্ট হবে। আর ছাগল থেকে যা বেশি, তা হবে নফল।” ৪৬০ (কিতাবুল উম্ম ২/২৪৪)
সাতের অধিক শরিক হলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭০,কাযিখান ৩/৩৪৯)
রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোকসকল! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের লোকদের ওপর প্রতি বছর কুরবানী করা কর্তব্য (আবূ দাউদ, হা/২৭৮৮, তিরমিযী, হা/১৫১৮)।
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে হজ করেছিলাম, তখন আমরা সাতজন করে একটি উট এবং একটি গরুতে শরিক হয়ে কোরবানি করেছি।
ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেছেন, “শরীকরা যদি সাতজন অপেক্ষা কম হয়, তাহলেও তা যথেষ্ট। অতিরিক্ত ভাগ দিয়ে তারা নফল করে। যেমন যাকে ছাগল দিতে হবে, সে যদি উট দেয়, তাহলে তাও যথেষ্ট হবে। আর ছাগল থেকে যা বেশি, তা হবে নফল।” ৪৬০ (কিতাবুল উম্ম ২/২৪৪)
আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি শিংওয়ালা সুন্দর সাদা-কালো দুম্বা আনতে বললেন… অতঃপর দো‘আ পড়লেন
بِسْمِ اللهِ اَللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ-
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন ওয়া মিন উম্মাতি মুহাম্মাদিন।
অর্থঃ ‘আল্লাহ্র নামে, হে আল্লাহ। আপনি কবুল করুন মুহাম্মাদের পক্ষ হ’তে, তার পরিবারের পক্ষ হ’তে ও তাঁর উম্মতের পক্ষ হ’তে’। এরপর উক্ত দুম্বা কুরবানী করলেন (ছহীহ মুসলিম, ছহীহ তিরমিযী হা/১২১০, ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৪২৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩১২৮; মিশকাত, পৃঃ ১২৭, ২৮, হা/১৪৫৪ ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)।
(২) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে জনমন্ডলী! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী’ (সনদ ছহীহ, ছহীহ তিরমিযী হা/১২২৫; ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৪২১; ছহীহ নাসাঈ হা/৩৯৪০; ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/২৫৩৩; মিশকাত হা/১৪৭৮)।
আমরা আলোচনা করে জানতে পারলাম যে কোরবানী ভাগেও দেওয়া যায়। সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে। এর নিচে যে কোন সংখ্যা হতে পারে। সবার একটায় লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকতে হবে আল্লাহকে খুশি করার জন্য। এর ব্যতিক্রম হলে কোরবানি হবেনা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক ভাবে কোরবানী করার তৌফিক দান করুক আমিন।