আল্লাহ তাআলা কে রাজি এবং খুশি করার জন্য আমরা কোরবানী ও আকিকা দিয়ে থাকি। যাদের উপর কুরবানী দেওয়া ফরজ হয়েছে তারা আল্লাহ তাআলা বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিবেন এবং সন্তান জন্ম হওয়ার পরে আকিকা দিবেন, নিচে বিশ্বের তো আলোচনা করা হলো।
আকিকার শব্দের অর্থ :
ইসলামের বিধান অনুসারে সন্তান জন্মের পর আকিকা করা মুস্তাহাব।আকিকা শব্দেটি আরবি শব্দ, এটি আরবি عَقٌّ শব্দ থেকে নির্গত; এর অর্থ হচ্ছে কাটা, পৃথক করা। পারিভাষিক অর্থে সপ্তম দিনে নবজাতক শিশুর মাথার চুল ফেলার সময় যবেহকৃত পশুকে আকিকা বলা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (অর্থাৎ পশু জবাই করো) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৭২)
যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯৬১)
আকিকার দোয়া আরবি:
الله حجيي أكيكاتو ابن فولانين دموهابيداميهي ولحموها بلاحميها وعظمها بيازمها وزيلدوها بزلاديهي وشا روحها بشري الله الله ، الله فيدا علي ابن مينار
আকিকার দোয়া আরবি উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা হাজিহি আকিকাতু ইবনি ফুলানিন দামুহাবিদামিহি ওয়া লাহমুহা বিলাহমিহি ওয়া আজমুহা বিআজমিহি ওয়া জিলদুহা বিজিলাদিহি ওয়া শা রুহা বিশাররিহি আল্লাহুম্মাজআলহা ফিদাআল্লি ইবনি মিনান্নার।
আমরা আল্লাহ তাআলা নিয়ম অনুযায়ী আকিকা দিব এবং হাদিস ও কুরআন অনুযায়ী দা পালন করার চেষ্টা করব আমিন।
কোরবানীর দোয়া:
মুসলমানদের কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা নামে পশু জবাই করার মাধ্যমে এটি পালন করা হয়। কোরবানির সময়কাল হলো জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। এই তিন দিনের যে কোনো দিন কোরবানি করা জায়েজ। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সর্বাপেক্ষা উত্তম।
আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
পশু কিবলার দিকে ফিরিয়ে যে দোয়া পড়বে
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ ‘
কোরবানীর দোয়া উচ্চারণ:
ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন।…বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।
কোরবানীর দোয়া অর্থ :
নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২১)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কোরবানী ও আকিকা সঠিক হাদিস অনুযায়ী করার তৌফিক দান করুক আমিন।