রমজানের রোজা যাদের উপর ফরজ করা হয়েছে তারা যদি ইচ্ছে কৃত ভাবে রোজা ভঙ্গ করে তার, বিপরীতে কাজা রোজা বা কাফফারা দিতে হয়।

    আমাদের জন্য রহমতও বরকত মই এই মাহে রমজান মাস আসে। এই রোজার গুরুত্বপূর্ণ ও রহমত ময়। ১১ মাসের বোনাস হিসেবে এই মাসে আসে। রোজা রাখলে শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য ও দুনিয়ায় আখিরাত অনেক অনেক নেকি ও ফজিলত লাভ করা যায়। ইচ্ছে কৃত কেউ রোজা ভঙ্গ করলে সেই রোজা রমজান পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে হবে। তেমনিভাবে শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়া কেউ রোজা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারাও আবশ্যক হয়ে যায়।

    যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রোজা বাদ দেয় বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোজা ভঙ্গ করে (যেমন সহবাস করা বা খাবার খাওয়া) তখন কাফফারা দেওয়া হয়।

    যার উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। সে যদি ইচ্ছে কৃত ভাবে রোজা ভঙ্গকরে  তবে তার ওপর ওই রোজার কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব হয়।কারণে কাজা ওয়াজিবযেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে, কিন্তু পরে কাজা করতে হয়; তা হচ্ছে—১. মুসাফির অবস্থায়, ২. রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে, ৩. মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে, ৪. এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে, ৫. শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে, ৬. কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে, ৭. নারীদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়।

    কোন ব্যাক্তি যদি রোজা ভঙ্গকরে ইচ্ছে কৃত তার জন্য রোজা কাজা ও কাফফারা দিতে হবে। কোরআন ও হাদিসে মাধ্যমে যেভাবে কাজা ও কাফফারা আদায় করবেন সেগুলো নিছে আলোচনা করা হলো

    কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি:

    কোন ব্যাক্তি যদি নিয়ম অনুসরণ না করে ইচ্ছে কৃত ভাবে রোজা ভঙ্গ করে তাকে কাফফারা দিতে হবে। আর কাফফারার যে যে ভাবে আদায় করতে হয় তা হলো:

    কাফফারা তিনভাবে আদায় করা যায়।

    • প্রথমত, একজন দাস মুক্ত করা।
    •  দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা এবং
    • তৃতীয়ত, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো।

    হাদিসে আছে একটি রোজার জন্য ৬০টি রোজা রাখা। একটি রোজা যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভাঙলে তার জন্য কাজা ও কাফফারা হবে ৬১ রোজা, দুটি ভাঙলে হবে ৬২ রোজা, তিনটি ভাঙলে হবে ৬৩ রোজা।

    কাফফারা ৬০টি রোজা একত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করতে হয়। কারও যদি কাজা, কাফফারাসহ মোট ৬১ বা তার বেশি হয়, তবে কমপক্ষে ৬১টি রোজা একটানা আদায় করতে হবে। কাফফারার রোজার মধ্যে বিরতি হলে বা ভাঙলে আরেকটি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে।

    আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (শরিয়ত অনুমোদিত) কোনো কারণ ছাড়া বা রোগ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, তার পুরো জীবনের রোজা দিয়েও এর ক্ষতিপূরণ হবে না। যদিও সে জীবনভর রোজা রাখে। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

    তাই বলতে পারি যে কোন কারন বা একেবারে সমস্যা না হলে রোজা না ভঙ্গ করা। রোজা ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাআ’লা ও হযরত মোহাম্মদ সা অনেক কষ্ট পান। এত রহমত ও বরকত ময় এই রমজান মাস কারন ছাড়া রোজা ভঙ্গল। রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। সবাইকে হাদিস অনুসরণ করে রোজা রাখার তুওফিক দান করুক আমিন।

    Similar Posts

    মন্তব্য করুন

    আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।